চন্দ্রযান ৩ | Chandrayaan 3 Details in Bengali
চন্দ্রযান-৩
সেপ্টেম্বর ২০১৯ এ সমস্ত ভারতবাসীর চোখে ধেয়ে এসেছিল স্বপ্নভঙ্গের হতাশা। সেই হতাশা অশ্রুকে পরিবর্জন করে সাফল্যের সিঁড়িতে নতুন পালকের সংযোজন ঘটিয়ে আনন্দাশ্রুতে পরিণত করতে বদ্ধ পরিকর ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)।
প্রকল্পের বাজেট
প্রকল্পের আওতায় বিষয়গুলি পুঙ্খানুপুঙ্খ নিরক্ষন করে ইসরো সভাপতি কে. সিভান জানান এই অভিযানে ব্যয় হবে ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক প্রায় ৬১৫কোটি টাকা।
কিভাবে কখন উৎক্ষেপণ
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘বাহুবলী’ লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ (এলএমভি৩) এম৪ রকেটের সাহায্যে ল্যান্ডার ও লোভার সহ ঠিক দুপুর ২টো ৩৫মিনিট ১৭ সেকেন্ডে চাঁদের দেশে পারি বসাবে চন্দ্রযান-৩।
কবে চাঁদে পৌঁছাবে চন্দ্রযান-৩
চার বছর আগে ২০১৯ এর সেপ্টেম্বরে একেবারে শেষমুহূর্তে চন্দ্রযান ২-র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় সে বার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল সমগ্র ভারতবাসীর। আবার সেই স্বপ্নকে পাখির চোখ করে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ ২৩-২৪শে আগস্ট চাঁদের মাটিতে সটফ ল্যান্ডিং এর মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩।
চন্দ্রযান-৩ অভিযানের প্রধান লক্ষ্য
ইসরোর তরফে চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রধান ৩টি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন-
- চাঁদের পৃষ্ঠে ল্যান্ডারটিকে নিরাপদ এবং নমনীয় ভাবে অবতরণ করা।
- চাঁদে রোভারের লোটারিং ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ এবং প্রদর্শন করা।
- এছাড়া চাঁদের পৃষ্ঠে উপলব্ধ রাসায়নিক এবং প্রাকৃতিক উপাদান, মাটি, জল ইত্যাদির উপর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চাঁদের গঠন আরও ভালোভাবে বুঝতে এবং অনুশীলন করতে। আন্তঃগ্রহ বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণে দুটি গ্রহের মধ্যে মিশনের জন্য প্রয়োজনীয় নতুন প্রযুক্তির বিকাশ এবং প্রদর্শনকে বুঝতে।