Thursday, November 21, 2024
Homeঅন্যান্যপড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় | পড়াশোনায় মনোযোগ আনার উপায়

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় | পড়াশোনায় মনোযোগ আনার উপায়

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ৫টি উপায়

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় | পড়াশোনায় মনোযোগ আনার উপায়

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায়
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায়

সুপ্রিয় বন্ধুরা,
শিক্ষা জীবনে এমন কোনো শিক্ষার্থী নেই, যিনি পড়তে বসে অমনোযোগী হওয়ার বিষয়টি অনুধাবন করেননি অর্থাৎ আমরা কমবেশি সকলেই পড়াশোনায় অনীহার বিষয়টিতে জর্জরিত। কিছু শিক্ষার্থী বা ছাত্রছাত্রীর মধ্যে সমীক্ষা করে দেখা গেছে যে, পড়তে বসলেই আমাদের মাথার মধ্যে আসে নানান ধরনের অপার্থিব চিন্তা, ফলতু শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে অমনোযোগী হয়ে পড়ে, এই অমনোযোগীতাই পড়াশোনায় অসফলতার অন্যতম কারণ।

পড়াশোনায় ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মেনে চলা জরুরি যেমন ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক পড়তে না বসা, খাওয়ার পরই পড়তে না বসা, আবার সম্পূর্ণ খালি পেটে পড়তে না বসা, কোলাহল যুক্ত জায়গা এড়িয়ে চলা এবং সঠিক আলো-বাতাস যুক্ত পড়ার স্থান নির্ণয় করা।

আসুন আজ আমরা জেনে নেবো কি ভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া যায় তার কয়েকটি মনস্তাত্ত্বিক ও বৈজ্ঞানিক উপায় –

১| সঠিক সময় নির্বাচন করা

একজন ছাত্রছাত্রীকে সব সময় পড়াশোনা করতে কখনোই ভালো লাগে না, তাই আপনার যে সময়ে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ আসবে মনে করছেন তখন পড়বেন। এখন যদি বলেন যে আমার কোন সময়ই পড়তে মন বসে না। তাহলে আমি বলব আপনি খুব সকালে কিংবা গভীর রাতে পড়ার অভ্যাস করতে পারেন। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে এই সময়ে পড়লে পড়াতে বেশি মনোযোগ আসে।

২| টেবিলে বসে পড়ার অভ্যাস করা

আপনি টেবিলে বসে পড়াশোনা করার অভ্যাস করুন, পড়তে মন না বসলেও টেবিলেই বসে থাকবেন। এরকম টেবিলে বসে থাকতে থাকতে দেখবেন আপনার পড়ার ইচ্ছা হবেই। এই ভাবে কিছুদিন করতে করতে পড়তে বসার প্রতি একটা ভালোবাসা জন্মাবে যা আপনাকে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী করে তুলবে। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন একটু বসে পড়ে আবার শুয়ে শুয়ে পড়া কখনোই মনস্থ হয়না। সবসময় চাইবেন শুয়ে পড়ার বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে।

৩| লক্ষ্য স্থির করা

কোনো কাজের ক্ষেত্রে যেমন লক্ষ স্থির করা জরুরি, তেমনি পড়াশোনার ক্ষেত্রেও লক্ষ নিরুপন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লক্ষ স্থির না থাকলে আপনি দিকভ্রষ্ট হয়ে পড়বেন তাই আপনার লক্ষ স্থির রাখা অবশ্যই জরুরি। কারণ আমাদের তো জানতে হবে আমরা যে পড়ছি, কিসের জন্য পড়ছি-তার উদ্দেশ্যই বা কি ? ঠিক যেমন ফুটবল মাঠে বল নিয়ে নেমে পড়লাম উদ্দেশ্যহীন ভাবে এদিক ওদিক বল মেরে দিলাম, কোনো গোলের দিকে এগিয়ে গেলাম না -এটা তো হতে পারে না। তেমনি পড়াশোনার ক্ষেত্রেও সঠিক লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য না থাকলে আপনি পড়াশোনায় কখনোই মনোযোগী হতে পারবেন না।

৪| রুটিন নির্ধারণ করে পড়া

আজ সকালে পড়বো না, আজ রাতে পড়বো- এ অভ্যাসটি পড়াশোনার ক্ষতির সর্বশ্রেষ্ঠ কারণ। একটা বিষয় আমাদের সব বিষয় দেখে চলতে হবে যে, সূর্য প্রত্যহ পূর্ব আকাশে প্রায় একই সময় উদিত হচ্ছে আবার পশ্চিম আকাশে অস্ত যাচ্ছে। ঠিক তেমনি আপনাকেও আপনার সময় মতো দিনের ঠিক ওই নির্দিষ্ঠ সময়ই পড়তে বসার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে যে, রুটিন হীন মানুষই কোনো দিনই সফল হতে পারেনি।

৫| শারীরিক সুস্থতা প্রদান

“সুস্থ দেহে সুস্থ মনের বাস” – সুস্থ স্বাভাবিক শরীরই পারে মনন ও চিন্তা শক্তির বিকাশ সাধন করতে। অর্থাৎ আপনি শারীরিক ভাবে সুস্থ না থাকলে কোনো মতেই পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারবেন না। এজন্য আপনার প্রয়োজন প্রত্যহ শারীরিক ব্যায়াম করা প্রয়োজন, পুষ্টিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ, প্রত্যহ ৬-৮ ঘন্টা ঘুম যা শরীরকে সুস্থতা প্রদান করবে।

এর ফলে আপনার পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসা জন্মাবে এবং পড়াশোনার মনোযোগী হয়ে উঠবেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Recent posts

popular posts