জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২২ | জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ 2022 | National Nutrition Week 2022
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজকের পোস্টে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২২ সম্পর্কে আলোচনা করলাম। যেটিতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালনের উদ্দেশ্য কি, জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২২ এর থিম, জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালনের তাৎপর্য এবং জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের ইতিহাস সম্পর্কে সুন্দরভাবে আলোচনা করা আছে।
জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ
ভারতবর্ষে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ৭ই সেপ্টেম্বর জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ হিসাবে পালন করা হয়। জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালনের মূল উদ্দেশ্যই হল সাধারণ জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ ও সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখার জন্য পুষ্টি সম্পর্কে যথাযথ সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কারণ সুষম খাদ্যাভ্যাসের দ্বারাই সুস্থ জীবন যাপন করা সম্ভব। কেন্দ্রীয় সরকার নারী, শিশু ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে দেশবাসীর মধ্যে পুষ্টিকর খাদ্যের গুনমান ও সচেতনতা উন্নয়নের জন্যই এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।
জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের ২০২২ থিম
জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের অংশ হিসেবে প্রতি বছর সরকার কর্তৃক এক বিশেষ থিম উপস্থাপন করে থাকে, যা প্রাথমিক ভাবেই সে বছর ওই থিমটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ‘জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২২’ এই বছরের থিম- “Celebrate a World of Flavors” ।
জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালনের তাৎপর্য
ভারত সরকারের মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয় খাদ্যে পুষ্টির মৌলিক গুণাবলী সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্য বার্ষিক ভাবে সপ্তাহব্যাপী জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উৎযাপনের আয়োজন করে। যা শিশু তথা মানবদেহে সুস্বাস্থ্য বৃদ্ধি ও বিকাশের পুষ্টিকর সুষম খাদ্য আহার গ্রহণ করার উপর সচেতনতা বৃদ্ধি করছে। কারণ পুষ্টিচক্রকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য তালিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারত সরকার এরূপ কর্মসূচির মাধমে মানবজাতির স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটাতে চেয়েছে।
জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের ইতিহাস
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে The National Nutrition Week (দ্য ন্যাশনাল নিউট্রিশন উইক) বা জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ১৯৭৫ সালে আমেরিকান ডায়েটিক আসোসিয়েশন (ADA) সদস্যের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংস্থাটি বর্তমানে The academy of Nutrition and Dietetics (দ্য একাডেমী অফ নিউট্রিশন এন্ড ডায়েস্টিক) নামে পরিচিত। সক্রিয় জীবনযাপনের ক্ষেত্রে পুষ্টিমৌল ও খাদ্যতালিকার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই সপ্তাহ গৃহীত হয়। ১৯৮০ সালে জনসাধারণের ইতিবাচক অভ্যর্থনার কারণে সে বছর এ সপ্তাহ পুরো মাস ব্যাপী প্রসারিত হয়েছিল।
ভারতবর্ষে ১৯৮২ সালে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ প্রথম পালিত হয়। যা জনসাধারণের দীর্ঘ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অনুপ্রাণিত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।