শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা PDF | শিক্ষক দিবসের বক্তব্য | Teachers Day Speech in Bengali
আপনারা যারা স্কুল, কলেজ বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা বা বক্তব্য দেওয়ার জন্য শিক্ষক দিবস সম্পর্কে সেরা একটি বক্তৃতা তথা আর্টিকেলের অনুসন্ধান করছেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের আজকের পোস্ট।
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ভাষণ বা বক্তব্য কীভাবে শুরু এবং কীভাবে শেষ করবেন তা খুব সুন্দর করে এই পোস্টটির মধ্যে দেওয়া আছে। আমরা আশা রাখছি আমাদের দেওয়া এই শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা টি আপনার অনুষ্ঠানের সেরা বক্তৃতা হবে।
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা ২০২৪
“গুরু ব্রহ্মা, গুরু বিষ্ণু, গুরু দেব মহেশ্বর
গুরু সাক্ষাৎ পরোমব্রহ্ম
তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ”
আজ ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীবৃন্দ, মা- বাবা, সভাপতি মহাশয় ও অথিতিবৃন্দ সকলকে শ্রদ্ধাপূর্বক প্রনাম জানাই; এছাড়া আমার স্নেহের সহপাঠী, ভাই-বোন ও বয়োজ্যেষ্ঠ দাদা-দিদি এবং আমার আপনজন যাহাদের কাছ থেকে আমি কোনো না কোনো সময় সুশিক্ষা গ্রহণ করেছি তাদের সকলকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে দু-একটি কথা উপস্থাপন করছি।
একজন সফল মানুষের পিছনে শিক্ষকের যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে, তা নতুন করে বলার কিছু নেই। শিক্ষক মহাশয় শুধু যে শিক্ষাদানই করেন তাই নয়। তিনি একজন শিক্ষার্থীকে জীবনে চলার পথে পরামর্শ দেন, ব্যর্থতায় পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দেন, সাফল্যের দিনে নতুন লক্ষ্য স্থির করে একজন আদর্শ মানুষ হওয়ার শিক্ষাও দেন।
তেমনি আজকের এই বিশেষ দিনটির তাৎপর্য খুঁজতে গিয়ে জানা যায় যে, একজন আদর্শ শিক্ষক ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ ১৮৮৮ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর তামিলনাডুর তিরুট্টানিতে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি (১৯৫২-৬২খ্রি:) এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি (১৯৬২-৬৭খ্রি:)। তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ও অধ্যাপক এই শান্ত মানুষটি ছাত্রজীবনে অতি মেধাবী ছিলেন। জীবনে কোনও পরীক্ষায় দ্বিতীয় হননি। বিভিন্ন বৃত্তির মাধ্যমে তাঁর ছাত্রজীবন এগিয়ে চলে। ১৯০৫ সালে তিনি মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তার বিষয় ছিল ‘বেদান্ত দর্শনের বিমূর্ত পূর্বকল্পনা’। বিশ্বের দরবারে তিনি অতি জনপ্রিয় দার্শনিক অধ্যাপক হিসাবেও পরিচিত ছিলেন। ১৯৩১ সালে তাঁকে ব্রিটিশ নাইটহুডে উপাধিতে সম্মানিত করা হয়। ১৯৫৪ তে ভারতরত্ন সম্মান পান। প্রথম জীবনে তিনি মহীশুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন (১৯১৮)। এমনকি তিনি এই বঙ্গের ক্যালকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেছেন। একসময়ে তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যাপনার আমন্ত্রণও পেয়েছেন। সে সময়ে তিনি বিভিন্ন পত্রিকাতেও লেখালিখি করেছেন। তাহার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে প্রথম ‘The Philosophy of Rabindranath Tagore’ এবং দ্বিতীয় গ্রন্থ ‘The Reign of Religion in Contemporary philosophy’ প্রকাশিত হয়।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তাঁর গুণমুগ্ধ ছাত্র ও বন্ধুরা তাঁর জন্মদিন পালন করতে চাইলে তিনি বলেন জন্মদিনের পরিবর্তে ৫ই সেপ্টেম্বর যদি শিক্ষক দিবস উদ্যাপিত হয় তবে আমি বিশেষরূপে অনুগ্রহ লাভ করবো। সেই থেকে এই দিনটি ভারতে শিক্ষক দিবসরূপে পালিত হয়ে আসছে।
তাই আজ একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে ভারতের দেখা স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে শিক্ষক মহাশয় সদাসর্বদা আমাদের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণভাবে, পথপ্রদর্শক ও নির্দেশনা দান করার মাধ্যমে রাষ্ট্রকে সর্বাগ্রে নিয়ে যাওয়া সম্ভব করবে। তাই এই সময় আমাদের সর্বদা করণীয় হবে শিক্ষক তথা গুরুজনদের শ্রদ্ধা জানানো, একে অন্যের সাহায্য করা অর্থাৎ সবাই মিলে চেষ্টা করে নব আঙ্গিকের পথে এগিয়ে চলা।
সবশেষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সভ্যগণকে আরো একবার শ্রদ্ধাপূর্বক প্রনাম জানাই এবং বন্ধু-বান্ধব, সহপাঠীবৃন্দ তথা সমগ্র দেশের সাহায্যকারী সকলকে শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা জানাই।
নমস্কার
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা PDF
File Details :
File Name : Teachers Day Speech in Bengali
Language : Bengali
No. of Pages : 01
Size : 01 MB
Very good👍
Thanks
আমি এটাই আজ পেশ করলাম
Hii
Nice 👍
Sotti darun 👌
Khub sundor laglo pore ❤️
অসাধারণ
অসাধারন
Nice..